ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জেলা পরিষদ নিয়ে হাইকোর্টের আরও একটি রুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
জেলা পরিষদ নিয়ে হাইকোর্টের আরও একটি রুল

জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা এবং তফসিল নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে...

ঢাকা: জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা এবং তফসিল নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আবেদনের পক্ষে শুনানি মো. আসাদুজ্জামান।
 
এর আগে, একই আবেদনে হাইকোর্ট ০৪ ডিসেম্বর আরও একটি রুল জারি করেন। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রুল হয়।
 
সংবিধানের সঙ্গে এ নির্বাচন সাংঘর্ষিক দাবি ও জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে ইউনুছ আলী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। ঢাকা জেলা পরিষদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরে আলম উজ্জ্বল।
 
০৪ ডিসেম্বর শুনানির এক পর্যায়ে আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ২০০০ সালে বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী ও বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এ বিষয়ে একটি ‍রুল দিয়েছেন। আজকে আমরাও রুল দিচ্ছি। দুই রুলের শুনানি এক সঙ্গে হবে।
 
পরে ইউনুছ আলী বলেন, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ সালের ৪ (২), ১৭ এবং ২০১৬ (সংশোধিত)-এর ৫ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ইউনুছ আলী আরও বলেন, এসব ধারায় বলা হয়েছে- জেলার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা পরিষদ, পৌর করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হবেন এবং তারা জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
 
তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ আইনের এই তিনটি ধারা সংবিধানের ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ এবং প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর মধ্যে সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় সরকারের প্রত্যেক ইউনিটে প্রতিনিধিরা আইন অনুসারে নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে ইলেক্টোরাল ভোটের নিয়ম নেই। ইলেক্টোরাল ভোটগ্রহণ করার আগে এ সংক্রান্ত বিধি করতে হবে। তা না করেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হচ্ছে না।
 
ইউনুছ আলীর মতে, এ বছর জেলা পরিষদ আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেটিও সঠিক হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের মনোনয়নের সময় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে সরকারিদল থেকে বলা হয়েছে, যারা মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হতে পারেননি, দলে পদ-পদবিও নেই এসব নেতাদের খুঁজে বের করে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, আইনের বিধানগুলো ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে করা হয়েছে। তাই এ রিট আবেদন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
ইএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।