ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

এবার সারা দেশে হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
এবার সারা দেশে হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: রাজধানীর পাশাপাশি এবার ঢাকার গুলশান, বনানী, অফিসার্স ক্লাব ও বারিধারা এলাকাসহ সারা দেশেই হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হিউম্যান রাইটস্‌ অ্যান্ড পিস্‌ ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে রোববার (০৮ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

‘পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি ১৯৯৭’ ও ‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধি ২০০৬’ অনুসারে নির্ধারিত মাত্রার বেশি শব্দ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ এবং শব্দ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নজরদারি (সারভিল্যান্স) টিম গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পুলিশের মহারিদর্শক (আইজিপি), বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার (হাইওয়ে), ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এর আগে রাজধানীতে হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধের নির্দেশ চেয়ে রিট করেছিলেন তিনি। ওই রিটেরই সম্পূরক আবেদনে সারা দেশেই এর ব্যবহার বন্ধের আরজি জানান।

গত ২৩ আগস্ট আগের রিটের শুনানি শেষে রুল জারিসহ রাজধানীতে চলাচলকারী সকল যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ, ২৭ আগস্টের পর কোনো গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন থাকলে সে গাড়ি জব্দ এবং হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি বন্ধ করে বাজারে এখনও যেসব হর্ন রয়েছে, তা জব্দের নির্দেশ দেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রুলে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং সারা দেশে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।
     
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি, ডিএমপি’র কমিশনার, ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান, ঢাকার ট্রাফিকের চার ডিসিসহ ২০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

দু’সপ্তাহের মধ্যে হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি-ব্যবহার নিষিদ্ধের এ আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদনও দিতে বলেছিলেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে গত ০৮ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্টরা।

ওইদিন প্রতিবেদন দেখার পর এখনো যেসব গাড়ির মালিক-চালকের কাছে হাইড্রোলিক হর্ন রয়েছে, সেগুলো ১৫ দিনের মধ্যে নিকটস্থ থানা পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আর পুলিশ কর্তৃপক্ষকে বলেন, যেসব হাইড্রোলিক হর্ন জমা হবে, সেগুলো ধ্বংস করতে হবে।

হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করতে ২৩ আগস্ট দেওয়া আদেশও বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

মনজিল মোরসেদ সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশাসন শত শত হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করেছে। কিন্তু তাতে টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছে- যিনি হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করছেন, এ আইনে তার শাস্তি হলো মাত্র ১০০ টাকা। এতে ব্যবহারকারীরা ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে আবারও ওই হর্ন ব্যবহার করছেন। ফলে মালিকদেরকে হর্ন ব্যবহার থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না। পরে এসব আদেশ দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।