ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আয়শা হককে ফের বিচারিক দায়িত্ব না দেওয়ার সুপারিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
আয়শা হককে ফের বিচারিক দায়িত্ব না দেওয়ার সুপারিশ

ঢাকা: ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা হককে ফের বিচারিক দায়িত্ব না দেওয়ার সুপারিশ করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) একটি পিটিশন মামলার বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিশন মামলায় রায় দিয়ে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ দায়রা আদালত ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ সুপারিশ করেন।

আদেশে তিনি বলেন, ‘আইন বিষয়ে ‘অজ্ঞ’ কর্মকর্তা আয়শা হককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ফের বিচারিক দায়িত্বে নিয়োজিত না করা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের কপি বিভাগীয় কমিশনার ও ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করা হোক।

ভাটারা থানাধীন জনৈক আলাউদ্দিন আল মাসুম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১৪/২০১২।

মামলার তফসিলভুক্ত জমির দখল সম্পর্কে ভাটারা থানা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বিরোধীয় সম্পত্তিতে প্রথমপক্ষের দখল বিদ্যমান থাকায় আদালত দ্বিতীয়পক্ষকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।

মামলার দ্বিতীয়পক্ষ আদালতে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করেন।

এরপর ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ও ২০১৬ সালের ৮ মে প্রথমপক্ষের তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এরপর দ্বিতীয়পক্ষে সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হলে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মামলায় গড় হাজির থাকেন।
গত বছরের ১৭ জুলাই প্রথমপক্ষ হাজিরা দাখিল করেন, দ্বিতীয়পক্ষ গড় হাজির থাকেন মর্মে আদেশ নামায় উল্লেখ করার পরও উভয়পক্ষকে গড় হাজির দেখিয়ে মামলা ‘নথিজাত’ করা হয়।

রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, প্রথমপক্ষে তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তারপরও মামলাটিতে কিভাবে রায় না দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা হক মামলাটি নথিজাত করলেন তা আদালতের কাছে বোধগম্য নয়। তিনি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মামলাটি নথিজাত করেন। আইন বিষয়ে অজ্ঞ এ ধরনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিচার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকলে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা হক আদালতে বিচারক হিসেবে থাকাটা সমীচীন নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।