ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জোড়াখুনের মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড, দু'জনের যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
জোড়াখুনের মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড, দু'জনের যাবজ্জীবন আসামি সুরুজ মিয়াকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ত্রিভূজ প্রেমের ঘটনায় গুলশানের হুন্দাই লিড কোম্পানির টেকনিশিয়ান জাকিউর রহমান জুয়েল ও তার বন্ধু সবুজ হত্যার দায়ে দু’আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দু’আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- কাওসার মোল্লা ও ফরহাদ গাজী।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুরুজ মিয়া ও সুপর্ণা। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কাওসার মোল্লা, ফরহাদ গাজী ও সুপর্ণা পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা, ভিকটিম জাকিউর রহমান জুয়েল হুন্দাই লিড কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করতেন। জুয়েলের বন্ধু সবুজের সঙ্গে সুপর্ণার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১০ সালের ২০ আগস্ট ফরহাদের বোন সুপর্ণা মোবাইল থেকে ফোন করে জুয়েল ও সবুজকে ডেকে নেয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেননি।

চারদিন খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে জুয়েলের মোবাইলে ফোন করলে আসামি সুরুজ, ফরহাদ ও কাওসার ফোন রিসিভ করে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেন। ওই ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচা মোতালেব হোসেন ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চারজনকে আসামি করে উত্তরখান থানায় মামলা করেন।

২০১১ সালের ৩ জুন ডিবি পুলিশের এসআই হাফিজুর রহমান আসামি কাওসার মোল্লা, সুরুজ, ফরহাদ এবং সুপর্ণার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তুহিন মাতুব্বর নামে এক আসামি কিশোর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভিন্ন চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০১২ সালের ১৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হয়। সুরুজ ও তুহিন মাতুব্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনায় ভিকটিম জুয়েল ও সবুজকে সুপর্ণার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ফ্রুটিকা জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ গুড়া করে খাওয়ালে তারা মাতাল হয়ে পড়েন। তখন কাওসার ও ফরহাদ প্রথমে জুয়েলকে জবাই করে হত্যা করেন। এরপর সবুজকে জোর করে শোয়াইয়ে সুরুজ মিয়া ও তুহিন মাতুব্বর জবাই করে হত্যা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮/ আপডেট: ১৪০৮
এমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।