ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সংবিধান-রায়ের আলোকে বিচারক নিয়োগ চায় সুপ্রিম কোর্ট বার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
সংবিধান-রায়ের আলোকে বিচারক নিয়োগ চায় সুপ্রিম কোর্ট বার সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ এবং বিচারক নিয়োগে নীতিমালা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের আলোকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, কার্যকর এবং বস্তুনিষ্ঠ করার প্রয়োজনের সাতটি যোগ্যতা নির্ণায়ক উল্লেখ করা হয়। ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে অবশ্যই সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য থাকতে হবে এবং মেধা সম্পন্ন, পেশাগত দক্ষতা, সুক্ষ্ম বিচারশক্তি ও ন্যায়পরায়ণতা সম্পন্নদেরই কেবল সুপারিশ করা যাবে।  

‘তাছাড়া একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সকল যোগ্যতা সম্পন্ন ইচ্ছুক প্রার্থীদের সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ প্রদান করতে হবে। ’
 
লিখিত বক্তব্যে তিনি  বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের নতুন বিচারপতি নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা বা নিয়োগের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নির্দেশনা সম্পর্কে কিছুই বলেননি।
 
‘এমতবস্থায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও সর্বোপরি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অনতিবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৯৫(২) অনুসারে হাইকোর্টের গত বছরের ১৩ এপ্রিলের রায়ের আলোকে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করে নতুন বিচারপতি নিয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছি। ’
 
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সবসময় আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব অতীত থেকেই পালন করে আসছে।  

‘বাংলাদেশের মানুষ সর্বোচ্চ আদালতের বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। সেজন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে হবে,’ যোগ করেন জয়নুল আবেদীন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখাসহ বিএনপিপন্থী সদস্যরা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।