বুধবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। এসময় জেলা জজ কোর্টে উপস্থিত ছিলেন প্রবীর হত্যার প্রধান আসামি পিন্টু দেবনাথ, বাপেন ভৌমিক ও ‘বড় ভাই’ খ্যাত আবদুল্লাহ আল মামুন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আদালতে আসামিপক্ষ থেকে মামলার চার্জ থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে উপস্থাপন করে, আসামিদের কেউ চার্জ থেকে বাইরে থাকার মতো কারণ নেই। আদালত আসামিপক্ষের অব্যাহতির আবেদন বাতিল করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি দেন।
এদিন মামলার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার দাবিতে আদালত পাড়ায় জড়ো হয়েছিলেন হত্যার শিকার প্রবীর ঘোষের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে এই মামলার প্রধান দুই আসামি পিন্টু দেবনাথ এবং বাপেন ভৌমিক জেলা কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি আবদুল্লাহ আল মামুন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ ও কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করা হয়। এর মধ্যে স্বপন কুমার সাহা হত্যায় ১০৯ পাতা ও প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যায় ২০৩ পাতার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়।
গত ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৯ জুলাই সড়কে শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিক বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে রাতেই শহরের আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠাণ্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীর ঘোষের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১০ জুলাই দুইজনকেই ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর নিখোঁজের পর খুন হন ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় স্বপন হত্যা নিয়ে তথ্য দেন বাবু। এরই মধ্যে স্বপনের বড় ভাই অজিত কুমার সাহা গত ১৬ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি হত্যা ও গুমের মামলা করে। সেখানে পিন্টু দেবনাথ, বাপান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রত্মা চক্রবর্তীকে আসামি করে মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
জেডএস