ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার (১৫ জুলাই) গেন্ডারিয়া থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পু্লিশের উপ-পরিদর্শক সালোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওইদিন সিআইডি তাকে আদালতে হাজির করে গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার (১৩ জুলাই) ভোরে লালবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন। তার হাত ধরেই গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কথা জানায় সিআইডি। তাদের ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন জয় গোপাল।
গত ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানিলন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে আসলে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
কেআই/এইচএডি