ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় অভিনেত্রী আয়েশা আক্তার আশার মৃত্যুর ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক শামীম আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
শামীমকে এদিন আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহান আহমেদ। অপরদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছয়-সাত বছর ধরে আসামি শামীম আহমেদের সঙ্গে আশার পরিচয়। সেই সূত্র ধরে শামীম প্রায়ই আশাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। আশার পরিবারের কাছেও তিনি ছিল বিশ্বস্ত। মাঝে মাঝে শামীমের মোটরসাইকেলে করে অফিস এবং অভিনয়ের কাজে আসা-যাওয়া করতেন আশা।
গত ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বনানী অফিস থেকে বের হয়ে আশা তার বাবাকে ফোন করে কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় ফিরছেন বলে জানান। এর মধ্যে আশা বাড়ি না ফিরলে রাত পৌনে দুইটার দিকে শামীম ফোনে আশার মৃত্যুর কথা জানান। তিনি বলেন, টেকনিক্যাল মোড়ে একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে সে মারা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় দুই ট্রাকের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আশা মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যান। এরপর পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা অপর একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে মাথায় জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই আশার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার আয়শা আক্তার আশার বাবা মো. আবু কালাম বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিনই শামীমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আশা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন।
** সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে চলে গেলেন অভিনেত্রী আশা
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
কেআই/আরএ