ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা মামলার রায় ১৭ জানুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা মামলার রায় ১৭ জানুয়ারি মা-ছেলের ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি। এ মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রোববার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ৯ ডিসেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এদিন ঠিক করা হলো।

ঘটনার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন রাতে নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক শামসুন্নাহার করিমের স্বামী আবদুল করিম ও করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ৩ নভেম্বর দিনগত রাত ৩টায় গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩। ৫ নভেম্বর জনির ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড চলাকালে ৮ নভেম্বর জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আলী হোসেন। চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ১ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
কেআই/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।