ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সন্তানের পিতৃপরিচয় বদল: স্বামী-স্ত্রীর অর্থদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
সন্তানের পিতৃপরিচয় বদল: স্বামী-স্ত্রীর অর্থদণ্ড

ঢাকা: সাবেক স্বামীর সন্তান হওয়া সত্ত্বেও পরকীয়া প্রেমিক থেকে স্বামী হওয়া আরশাদ হোসেন ও স্ত্রী অনামিকা ওমরকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ রায় দেন।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সোমবার আদালত এই রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা অর্থদণ্ডের ১০ হাজার টাকা আদালতে জমা দেন।

কন্যা সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির মামলায় সাবেক স্ত্রী অনামিকা ওমর এবং তার দ্বিতীয় স্বামী আরশাদ হোসেনকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনামিকা ওমর চকবাজারের ৭৯/ক হোসনী দালানের ওমর ফারুকের মেয়ে। আরশাদ হোসেন একই থানার ১০/২ বকশিবাজার লেনের মৃত গোলাম আহম্মদের ছেলে।

কন্যা সন্তানের জন্ম নিববন্ধন সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মাকসুদুর রহমান ২০১৭ সালে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছর চকবাজার মডেল থানার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন দুজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জানুয়ারি এ মামলার বাদী মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে অনামিকা ওমর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে বৈধ বিবাহ বলবত থাকা অবস্থায় আরশাদ হোসেনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন অনামিকা ওমর। পরবর্তীতে তিনি মাকসুদুর রহমানকে তালাক দিয়ে আরশাদ হোসেনকে বিয়ে করেন। তখন ওই কন্যার নাম, জন্ম তারিখ ও পিতার নাম পরিবর্তন করে তারা (অনামিকা ও আরশাদ) নতুন জন্ম নিবন্ধন করেন।

অন্যদিকে মাকসুদুর রহমান তার সন্তানের ভরণপোষণের টাকা রীতিমতো পরিশোধ করেন। তারপরও আসামিরা মাকসুদকে তার মেয়েকে দেখতে দিতেন না। তিনি বাধ্য হয়ে কুমিল্লা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে তার কন্যাকে মাসে একবার দেখা করার আদেশ আসে। এরপরও আসামিরা তাকে তার মেয়েকে দেখতে দিতেন না।

২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর মাকসুদুর রহমান আদালতের আদেশ নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে সেন্টার পয়েন্ট স্কুলে তার কন্যার লেখাপড়ার খবর নিতে ও তার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু তিনি যে নামে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই নামে কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে নেই বলে তাকে জানানো হয়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে চলে যেতে বলেন।

এ নিয়ে অনামিকা ও আরশাদ স্কুলের গেটে মাকসুদুর রহমানকে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন। আরশাদ মাকসুদুর রহমানকে কিল-ঘুষিও মারেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।