ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ষাটের অধিক অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। তিন জেলার প্রশাসকের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে এমন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
শুনানি শেষে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৯ মার্চের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সংবাদপত্রে এই তিন জেলার ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে, পাহাড় কেটে মাটি ইটভাটায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার এবং বনের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট করে।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাতদিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, প্রতিবেদনে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২টি, কাপ্তাই উপজেলায় ১টি,লংগদু উপজেলায় ৩টি, রাজস্থলি উপজেলায় ৩টি এবং কাউখালি উপজেলায় ১৬টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। তবে ওই জেলার জুরাছড়ি, সদর, বরকল, বিলাইছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলায় কোন ইটভাটা নেই বলে উল্লেখ করা হয়।
বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় ২টি, লামা উপজেলায় ৩টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কয়েকটি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলায় ৫টি, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৬টি, পানছড়ি উপজেলায় ৩টি, দীঘিনালা উপজেলায় ২টি, মহালছড়ি উপজেলায় ৩টি, মানিকছড়ি উপজেলায় ১টি, রামগড় উপজেলায় ৯টি ও গুইমারা উপজেলায় ৫টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
ইএস/এমজেএফ