ঢাকা: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঠেঙ্গেরবান এলাকায় বড় ভাই হত্যার দায়ে ছোট ভাইকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আসামির আপিল মঞ্জুর করে সোমবার (২৮ মার্চ) রায় দেন বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান ও এস এম আলীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
পরে সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, কোনো প্রকার সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র সার্বিক দিক বিবেচনায় তো কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে না। নিম্ন আদালত সেটাই করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তাই উচ্চ আদালত একমাত্র আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কালিয়াকৈর উপজেলার ঠেঙ্গেরবান এলাকার মাওলানা ইউসুফ আলীর ছোট ছেলে রায়হান ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে তাদের বাড়ির গোয়ালঘরে বড় ছেলে জহিরুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে জহিরুলকে অজ্ঞান অবস্থায় টেনে হিঁচড়ে বাড়ির কাঁচা টয়লেটের ম্যানহোলে ফেলে ঢাকনা লাগিয়ে দেন।
ঘটনার পর জহিরুলের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার তার মামা শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে ওই টয়লেটের কাছে রায়হানকে দেখতে পান। এ সময় তিনি তার স্বামীকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে গোয়ালঘরে রক্ত ও সেখান থেকে টয়লেট পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয় লোকজন এসে টয়লেটের ম্যানহোল খুলে জহিরুলকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই মো. রায়হান উদ্দিনকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড দেন।
পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রায়হান জেল আপিল ও ফোজদারি আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
ইএস/আরবি