ঢাকা: লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা মাওলানা বাবর মিয়া হত্যায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানির শেষে সোমবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন, শাম্মী আক্তার ও মো. সামসুদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।
হাইকোর্টে যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন- সদর উপজেলার তিতারকান্দি গ্রামের আলম, মিরাজ, মঞ্জু, মামুন, ভুট্টো ওরফে আবদুস সহিদ, মহিন উদ্দিন, পূর্ব রাজাপুরের মাঈন উদ্দিন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- গোবিন্দপুর গ্রামের মোর্শেদ আলম, জগন্নাথপুর গ্রামের মাসুদ, মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের আবুল বাশার ও তিতারকান্দি গ্রামের কালা মুন্সি।
২০০৩ সালের ৮ মার্চ রাতে সদর উপজেলার তিতারকান্দি গ্রামের যুবদলকর্মী মাওলানা বাবর মিয়াকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নুর আলম সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাইদুর রহমান গাজী ১১ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
পরে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।
রায়ের পরে আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন বলেন, নিরপেক্ষ সাক্ষী দিয়ে অপরাধ প্রমাণ করতে না পারায় চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের নাম এজাহারে ছিল না। মামলার অন্য এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ চার আসামির নাম এলেও সাক্ষীদের জবানবন্দি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সমর্থন করেনি। যে কারণে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাকি সাত আসামির বিষয়ে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল রাতে। মাওলানা বাবরকে হত্যায় আসামিদের উপস্থিতি প্রমাণিত হলেও কে কীভাবে হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে তা কোনো সাক্ষীর জেরা-জবানবন্দিতে স্পষ্ট না। তাছাড়া দুজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পরস্পরবিরোধী। যে কারণে আদালত মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের যাবজ্জীবন দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
ইএস/আরবি