সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার মধ্যে পাঁচটি মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তাদের জরিমানা করাসহ এক জনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরের দিকে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
রায়ের কপি থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার তেরাপুর গ্রামে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। সেই মামলায় ভিকটিমের ফুফাতো ভাই রিপন মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ভিকটিমকে পরিশোধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে এ মামলায় রুকন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর আসামি জজ মিয়াকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০০৯ সালে জগন্নাথপুর উপজেলার হাড়গ্রামস্থ এলাকায় ভাতিজিকে ধর্ষণ করার দায়ে চাচা শাহিন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদয়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে জেলা সদর উপজেলার ইছাগরি গ্রামে প্রাইভেট শিক্ষকতার সুবাদে বাড়িতে আসা-যাওয়ার এক ফাঁকে ঘরে কেউ না থাকায় নবম শ্রেণি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় শৈলেন দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ২০১৫ সালে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আমড়িয়া গ্রামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার মামলায় আসাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ের তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নান্টু রায় বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
এসআরএস