ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কাপাসিয়ার সানাউল্লা হত্যা: সব আসামি খালাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
কাপাসিয়ার সানাউল্লা হত্যা: সব আসামি খালাস

ঢাকা: ২১ বছর আগে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঘাগটিয়া গ্রামের সানাউল্লা সরকার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হোসেন ও গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না থাকা এবং আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না থাকায় আদালত আসামিদের খালাস দিয়েছেন। তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সানাউল্লা সরকারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সানাউল্লার ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন।

এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক ফজলে এলাহি ভূইয়া রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম,আলম শেখ, সেলিম শেখ, নয়ন শেখ, আনোয়ার হোসেন শেখ। যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন- আনোয়ারা বেগম, আবদুল মোতালেব ও শামসুদ্দিন। পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও আপিল করেন।  

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড.মো.বশির উল্লাহ বলেন, ‘বিচারিক আদালতে রায়ের পর আনোয়ারা বেগম এবং আলম শেখ মারা গেছেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।