ঢাকা: ১৬ বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামে আব্দুল মতিন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির মধ্যে একজনের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বাকিদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিচারপতি মো.ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো.কামরুল হোসেন মোল্লার অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আহসান উল্লাহ,নাজমুল হাসান রাকিব, সৈয়দা ফারাহ হেলাল ও মো. বেলাল হোসেন।
আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সকালে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধারকী গ্রামের আব্দুল মতিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই মামলা করেন।
বিচার শেষে এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর রহিম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ধারকী গ্রামের ওয়াজেদ আলী ওরফে তোরাফ, মো. চৈতুন মোল্লা, ছাবাদুল, মো.মাজিরউদ্দিন, মো.আনু , আবু হাসান দিলীপ ও মন্টু মিয়া।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই গ্রামের মাহবুব আলম বাবু। এছাড়া বিচার চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ৭ জনের মধ্যে শুধু মাত্র মাজির উদ্দিনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকিদের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত বাবুর দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
ইএস/এএটি