ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হত্যা মামলায় ৪ ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২২
হত্যা মামলায় ৪ ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে গমক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নুরনবী মিয়া নামে এক মুদি ব্যবসায়ী যুবককে হত্যার অভিযোগে ঘটনার দীর্ঘ ১৮ বছর পর চার ভাইসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (০৯ মে) দুপুরে দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান।

রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. এস এম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. আমজাদ হোসেন ও শামছুদ্দোহা রুবেল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল এলাকার ঘেতু শেখের ছেলে রাশেদ (৪০), মকবুল হোসেন (৫৪), তসলিম উদ্দিন (৫৬) ও মোসলেম উদ্দিন (৪৪)। একই এলাকার আব্দুল কাদের (৪৩), মিন্টু মিয়া (৪১), মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ (৪৪) এবং নুরু মিয়া (৫০)। মামলা চলাকালে চাঁন মিয়া নামে আরেক আসামির মৃত্যু হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাচকোল বাজারে শিক্ষক মোখলেসুর রহমানের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী নুরনবীকে (২২) তার দোকানে ১ নম্বর আসামি রাশেদসহ বাকিরা গলায় মাফলার পেঁচিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এর আগে শ্যালো মেশিনে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে নিহত নুরনবীর বাক-বিতণ্ডা হয়।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলেও আসামিরা তাতে সন্তষ্ট ছিলেন না। এরই জেরে নুরনবীর দোকানে তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন আসামিরা। ঘটনার পরদিন নুরনবীর বাবা শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে চিলমারী থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. এস এম আব্রাহাম লিংকন বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিচারকাজ চলাকালে ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২২
এফইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।