ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিলেট: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্যদের নির্যাতনে মারা যান রায়হান আহমদ। এ ঘটনায় তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (১১ মে) মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার বাদী রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী সাক্ষ্য দেন। বৃহস্পতিবার আরও দুজন সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ কেবল মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরপর বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা প্রস্তুতি নাই বলে সময় চান। আদালত তাদের একদিন সময়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাক্ষীকে জেরা করবেন তারা। এরপর আরও দুজন রায়হানের মা সালমা বেগম ও চাচা সাক্ষী দেবেন।

রায়হান হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা উচ্চ আদালতে গেলেও সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার কোনো আইন নাই। উচ্চ আদালত থেকে যদি তারা স্থগিতাদেশ আনতেন, তাহলে আমরা মানতে বাধ্য ছিলাম।

সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, উচ্চ আদালতে তারা কেবল ফাইল করেছেন, হাইকোর্টের কোন বেঞ্চে আছে, কবে নাগাদ হবে, এগুলোর কোনো দিকনির্দেশনা নাই। আর এটা চলমান মামলা, সব মামলাই সেনসেশনাল, এই মামলা আরও বেশি সেনসেশনাল, এটাতে তো আমরা অহেতুক বিলম্ব করতে পারি না।

গত ১৮ এপ্রিল সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিমের আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে রায়হান হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। মামলায় ৬৯ জন সাক্ষী রয়েছেন।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রায়হান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করে। এরপর স্থানান্তর হয় পিবিআইতে। গত বছরের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।