ঢাকা: ২০১১ সালে সিলেটে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সোহেল আহমদকে (২৪) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
শুনানি শেষে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য ১০ অক্টোবর সোমবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজা আল ফারুক ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ইসলাম উদ্দিনের এক বোনকে বিয়ে করেছিলেন সিলেট নগরের গোটাটিকর এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ। ইসলাম এ বিয়ে মেনে নেননি। এ ক্ষোভ থেকে ইসলাম তার বন্ধু কাজলকে নিয়ে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে সোহেলকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বানাগাঁও এলাকার দালুয়ারবন্দ হাওরে নিয়ে যান। সেখানে ইসলাম ও কাজল মিলে সোহেলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করেন। মস্তকটি অন্য একটি জায়গায় ফেলে দিয়ে মরদেহ পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। পরদিন পুলিশ সোহেলের মস্তকটি হাওর এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
পরে সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ইসলাম ও কাজলকে গ্রেফতার করে।
দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, ইসলাম তার বোনকে বন্ধু কাজলের কাছে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এ চাওয়া পূরণ না হওয়ায় দুজন মিলে সোহেলকে হত্যা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন আদালতে ইসলাম ও কাজলসহ নয়জনকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভুঞা দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হচ্ছেন সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওরের কাজল মিয়া ও ইসলাম উদ্দিন ওরফে ইসলাম।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
৪ অক্টোবর সোমবার এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২২
ইএস/আরআইএস
