ঢাকা, সোমবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

দুদকে অভিযোগের পর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
দুদকে অভিযোগের পর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে রিট

ঢাকা: চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ‘অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অর্থ  ও সম্পত্তির বিষয়ে’ অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন করেছিলেন জাতীয় পার্টির এক নেতা। কিন্তু দুদকে সাড়া না পেয়ে সেই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন সেই নেতা।



মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আবেদনে সাড়া দেয়নি।

তবে রিটটি নিষ্পত্তি করে আদেশে আদালত বলেছেন, দুদক বিধিমালা ২০০৭ এর ১৩ বিধি অনুসারে এ বিষয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে উপযুক্ত আদালতে যেতে পারে।

আদালতে রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির প্যাডে লিখে  অভিযোগ  দুদকে জমা দেন জাতীয় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক  মো. ইদ্রিস আলী।
 
‘জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের  বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অর্থ ও সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রসঙ্গে’ শিরোনামে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

অভিযোগ মতে,  ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে জাতীয় পার্টির ৪ জন মহিলা সংসদ সদস্যর মনোনয়ন কার্যক্রমে তৎকালীন পার্টি কর্তৃক নির্ধারিত ‘মহিলা সংসদ মনোনয়ন বোর্ড’ কর্তৃক  ১৮ কোটি দশ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে চার জন মহিলা সদস্যকে জাতীয়ূ সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

দলীয় পদ-পদবি নাম ভাঙ্গিয়ে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা ঘুষ গ্রহণের মূল সুবিধাবোগী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি মূলত দলের কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।  
 
এছাড়া দলীয় পদ পদবী ব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করা একটি নাম সর্বস্ব প্যাডে এরশাদ সাহেবের দস্তখত সৃজন করে ক্ষমতাপত্রের মাধ্যমে নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন। এসবসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করবেন ইদ্রিস আলী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।