মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের আমাদের বিদ্যমান বিচার ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে আবার কখনো ভুলক্রমে অনেকেই মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলার শিকার হন।
যদিও আইনানুযায়ী কাউকে ভুল করে মামলার পক্ষ করা হলে অথবা পক্ষ থেকে বাদ দেয়া হলে মামলার কোনো ক্ষতি হয় না। মামলা তার আপন গতিতেই চলবে। মামলার মূল বিষয়বস্তু ঠিক থাকলে আদালত মামলা পরিচালনা করে যাবে।
আদালতের সামনে উপস্থাপিত প্রত্যেকটি মামলায় বিরোধীয় বিষয়টি পক্ষদের অধিকার ও স্বাথের সঙ্গে যতটুকু প্রাসঙ্গিক আদালতে ততটুকুই বিবেচনায় নিয়ে মামলা পরিচালনা করবে। বাকি বিষয়বস্তু আদালতের বিবেচ্য নয়।
তাই, যে ক্ষেত্রে বাদী হিসেবে ভুল লোকের নামে মামলা দায়ের করেছে অথবা সঠিক বাদীর নামে এটি দায়ের করা হয়েছে কিনা সন্দেহ, সেসব ক্ষেত্রে আদালত ন্যায় বিচারের কোনো ক্ষতি হবে না এরকম মনে করলে মামলা পরিচালনা করবে। আবার আদালত যদি মনে করে যে মামলাটি ভুলক্রমে দায়ের করা হয়েছে এবং উক্ত মামলাটি প্রকৃত বিরোধীর বিষয় নির্ধারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তবে সেক্ষেত্রে আদালত অন্য কোনো লোককে বাদী হিসাবে স্থলাভিষিক্ত বা সংযোজিত করতে আদেশ দিতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে মামলার কোনো ক্ষতি হয় না ও সাধারণ নাগরিকও হয়রানির শিকার হন না।
আদালত মামলার যেকোনো পর্যায়ে যেকোনো পক্ষের আবেদন অনুযায়ী কিংবা আবেদন ছাড়াই এবং আদালতের কাছে সঙ্গত মনে হলে অন্যায়ভাবে যুক্তপক্ষের নাম বাদী বা বিবাদী যে হিসাবেই হোক- বাদ দিতে পারবে। একইভাবে কোনো ব্যক্তির নাম বাদী বা বিবাদী যে হিসেবেই থাক- যদি সংযোজন করা প্রয়োজন- তা আদালত সংযোজন করতে পারে।
অর্থাৎ ন্যায়বিচারের স্বার্থে বা মামলা কেন্দ্রিক প্রশ্নগুলোর সুষ্ঠু ও সম্পূর্ণভাবে বিচার ও সমাধানের উদ্দেশে যদি কাউকে সংযোজন বা বাদ দিতে হয় তাহলে আদালত সে আদেশ দিতে পারেন।
কিন্তু এমন কোনো লোককে বাদীপক্ষের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, যার পরিচালনার জন্য কোনো অভিভাবক নেই (যদি নাবালক ইত্যাদি হয়)।
যে ক্ষেত্রে মামলার কোনো নতুন বিবাদীকে যুক্ত করা হয়, সে ক্ষেত্রে আদালত অন্য কোনো নির্দেশ না দিলে, আরজি আবেদন প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন করতে হবে সংশোধীত সমন ও আরজির অনুরূপ নকল নতুন বিবাদীর ওপর জারি করতে হবে এবং আদালত যদি মনে করে তাহলে মূল বিবাদীর ওপরও সমন জারি করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
এসআই