ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সম্রাটের মামলার চার্জশুনানি পিছিয়ে ১১ ডিসেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২২
সম্রাটের মামলার চার্জশুনানি পিছিয়ে ১১ ডিসেম্বর

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভুত আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান চার্জ শুনানির নতুন এ দিন ঠিক করেন।



মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) একই আদালতে এই মামলায় চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল। জামিনে থাকা আসামি সম্রাট এদিন আদালতে হাজিরা দেন। তবে তার পক্ষে আইনজীবী চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১১ ডিসেম্বর চার্জ শুনানির দিন রেখেছেন।

গত ১১ মে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন একই আদালত। ওইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর গত ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে আদেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদেশে সম্রাটকে সাত দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।  
উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী সম্রাট গত ২৪ মে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত জামিন শুনানি না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ২২ আগস্ট এ মামলায় দ্বিতীয় দফায় জামিন পান তিনি।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এদিন দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর গত ২২ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে মামলাটি এই আদালতে বদলির আদেশ দেন।

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
কেআই/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।