ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বেগমগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
বেগমগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) হত্যার দায়ে তার স্বামী মঈন উদ্দিনের (৪২) মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।



রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন এখন পলাতক আছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটেরা ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে কৌশলে মঈন উদ্দিন ভুক্তভোগী বিবি ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ১ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মরদেহ ভেসে উঠেছে।

ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে স্বামী মঈনসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করে করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলায় আজ রায় দেন।  

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বামী ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত শুনানি শেষে মঈন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এ কৌঁসুলি।

নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাবা মামলার বাদী ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ এ রায় হলো কিন্তু আমার বাবা বেঁচে নাই। তিনি মারা গেছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।