শিশুর আপন খেয়ালেই এমন অনেক কাজ করে থাকে যা বড়দের কাছে খানিকটা বিড়ম্বনার বিষয় হয়ে যায়। শিশুরা যেসব কিছু জেনেবুঝে করে, এমন নয়।
অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ থেকে রাইনোটিলেক্সোমেনিয়া দেখা দিতে পারে। যার ফলে নাক খোঁটার পরিমাণ অত্যধিক হয়। তা ছাড়া নখ থেকে নাকের ভিতরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই অভিভাবদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় আবার বড়দের দেখেই এই কাজ করতে শেখে খুদেরা। বারবার বলেও নাক খোঁটার অভ্যাসে লাগাম টানা সম্ভব হয় না। কী করে করে করবেন মুশকিল আসান?
* বকাঝকা করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এর বদলে সন্তান যখনই নাকে হাত দেবে, তাকে বলুন হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। বারবার হাত ধুতে হলে নিজেই নাকে হাত দেওয়া কমিয়ে দেবে সন্তান।
* অনেক সময় খুদে একঘেয়েমি কাটাতেও নাকে হাত দেয়। তাই খুদে যখনই ফাঁকা বসে থাকবে বা একমনে টিভি দেখতে দেখতে নাক খুঁটতে থাকবে, তখনই তাকে অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত করে দিতে পারেন। হাতের লেখা অভ্যাস করা কিংবা আঁকার মতো কোনো কাজ দিতে পারেন। ব্যস্ত থাকলেই কমে যাবে নাকে হাত দেওয়ার প্রবণতা।
* নাকে সর্ব ক্ষণ আঙুল দিয়ে বসে থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা সন্তানকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। যদি সন্তান কিছুতেই না বোঝে, তবে খেলাচ্ছলে সন্তানকে বলুন যদি একটি নির্দিষ্ট সময় সে নাকে আঙুল না দেয়, তবে পুরস্কার দেবেন। সত্যিই যদি নাকে হাত না দিয়ে থাকে তবে পছন্দের চকোলেট পুরস্কার হিসেবে দিতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৪
এএটি