যেকোনো অনুষ্ঠানে শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা বেছে নেই গর্জিয়াস, সুন্দর একটি শাড়ি। দিনের অনুষ্ঠানে প্রাধান্য দেই হালকা রঙের হালকা কাজের শাড়ি এবং রাতের অনুষ্ঠানের জন্য গাঢ়, ভারী কাজের শাড়িগুলো বেছে নেওয়া হয়।
আমাদের দেশি তাঁতের শাড়িগুলো যেকোনো উৎসবের জন্য সবদিক থেকে উপযুক্ত। তবে প্রচারণা এবং আগ্রহের অভাবে আমাদের চোখ যায় আলমারিতে থাকা বিদেশি শাড়িটার প্রতি। আমাদের বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে দেশি শাড়িগুলো গর্জিয়াস না তাই উৎসব অনুষ্ঠানে এসব শাড়ি পরা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশি এমন অনেক শাড়ি রয়েছে যেগুলো যেকোনো উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত। আজকাল বিয়ের কনেও এসব শাড়ি নিজের বিশেষ দিনে বেছে নিতে পারেন।
জামদানি, মনিপুরী, মসলিন এসব শাড়ি সব উৎসবেই পরা যায়। এছাড়াও রয়েছে বাজেট ফ্রেন্ডলি হাফসিল্ক শাড়ি। হাফসিল্ক শাড়িগুলোতে আকর্ষণীয় মোটিফ খুব সহজেই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। আবার এসব শাড়ির পাড় ও জমিনে আকর্ষণীয় নকশা শাড়িগুলোকে অনেক গর্জিয়াস করে তোলে। ফলে এ শাড়িগুলোও পরতে পারি আমরা।
জামদানি মোটিফের হাফসিল্ক শাড়ি, হাফসিল্ক মসলিন শাড়ি, মসলিন ধাঁচের শাড়িতে সিকুয়েন্সের কাজ করা হাফসিল্ক শাড়ি, হাফসিল্ক শাড়িতে মনিপুরী মোটিফ কিংবা হাফসিল্ক শাড়িগুলো সবার নজর কাড়ে। পাড়ের রং কিংবা জমিনের কাজের সঙ্গে মিলিয়ে ডিজাইনার ব্লাউজ এবং সুন্দর গয়না দিয়ে এই শাড়িগুলো সব সময় ব্যবহার করা যায়।
দেশি এই শাড়িগুলোর সুবিধাজনক দিক হলো এই শাড়িগুলো আমাদের দেশের সংস্কৃতি এবং আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই ও আরামদায়ক। আরেকটি সুবিধাজনক দিক হলো এসব শাড়ির দামও থাকে সবার সাধ্যের মধ্যে।
লেখা: রাকিমুন বিনতে জয়া
স্বত্তাধিকারী: পরিধান শৈলী - Poridhan Shoili
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এসআইএস