ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সভা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সভা

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ বিভাগের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) নৈরাজ্য-নাশকতা-বিশৃঙ্খলা: উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান বাধা শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ বিভাগের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান, ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, ঢাবির টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান, ঢাবি অধ্যাপক ড. বিল্লাল হোসেন, অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. রফিক শাহরিয়ার, ঢাবির সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রেহান সোবাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম, এস এম লুৎফর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক এইচ এম মেহেদী হাসান প্রমুখ।  

সভায় অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন আসে। কিন্তু বিএনপি অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়। বেশ কিছুদিন ধরে তারা অপপ্রচার করছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই, আর বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ১৫ ও ২১ আগস্ট যারা ঘটিয়েছে, সেই মূল ঘাতকদের তদন্ত কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।

সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, বিএনপি ভয়াবহ নাশকতা করতে পারে, নয়াপল্টনে জনসভা ডাকার দুরভিসন্ধি রয়েছে। তারা কৌশলে খালেদা জিয়াকে জনসভায় এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।  

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের তথ্য বিদেশে পাচার করা নিন্দনীয় ও দেশবিরোধী কাজ। বিএনপি বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যে কোনো হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কিন্তু বিএনপি ও এদেশের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যা, শিশু রাসেল হত্যা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানের মতো জনপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করে তারা এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে। তারা এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায় বা জাতীয় সরকার ব্যবস্থা চায়। এটা কোনো দিনই আর সম্ভব নয়।

অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকার। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ নিরাপদ। তিনিই সফল রাষ্ট্র নায়ক।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, ফার্মেসি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. শাহেদ ইমরান, বাকশাল মহাসচিব কাজী মো. জহিরুল কাইয়ুম, সার্জেন্ট জহুরুল হক শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনসহ বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।