ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৪ মাস বিদ্যুৎহীন ইউপি কার্যালয়, ব্যাহত সেবাদান

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
১৪ মাস বিদ্যুৎহীন ইউপি কার্যালয়, ব্যাহত সেবাদান

নীলফামারী: ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে ১৪ মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তাই থমকে আছে পরিষদের সেবাদান কাজকর্ম।

কাজের জন্য পরিষদে এসে খালি ফিরতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

জানা গেছে, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের কাছে ডিমলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮৬ হাজার ৬৯১ টাকার বিল পাওনা। ১৬ মাসের বকেয়া বিল না পাওয়ায় গত ১৪ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।

প্রয়োজনীয় কাজে গিয়ে ইউপির সেবা না পাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। ভোগান্তির জন্য তারা টানা চার মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা আনোয়ারুল হক সরকারের উদাসীনতা ও অবহেলাকে দায়ী করছেন।

রবিউল ইসলাম নামে এক স্থানীয়র অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদে ছেলের কম্পিউটারাইজড জন্মনিবন্ধন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। চারমাস ধরে ঘুরছেন। কিন্তু কাগজ পাননি। কার্ড না থাকায় ছেলেকে স্কুলেও ভর্তি করাতে পারছেন না। নিবন্ধন কার্ডের জন্য সরকারি ফি বাদেও নানা অজুহাতে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা নিয়েছে তথ্যকেন্দ্রে কর্মরতরা।

আরও কয়েকজন জানান, প্রতিদিন বহু মানুষ সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কয়েকবার তোপের মুখে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড ও অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করতে ছুটতে হয় পাশের ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরে। অধিকাংশ সময় পরিষদের তথ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকে বলেও অভিযোগ তাদের।

পরিষদের ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা আবু ছোয়াদ বলেন, জোড়াতালি দিয়ে আমাদের সেবা কার্যক্রম চলছে। সোলার প্যানেল দিয়ে যতটুকু সম্ভব কাজ করছি। ক্যামেরা ও ফটোকপি তো আর সোলার দিয়ে চলে না।

ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল বলেন, বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় (সোলার প্যানেল) ইউনিয়ন পরিষদের সব কার্যক্রম চলছে। আমার পরিষদে আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগের দরকার নেই। যখন প্রয়োজন হবে তখন সংযোগ লাগিয়ে নেব।

ডিমলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আব্দুল্লাহ আল কাফি জানান, পশ্চিম ছাতনাই ইউপি কার্যালয়ের কাছে ৮৬ হাজার ৬৯১ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বকেয়া পরিশোধের জন্য একাধিকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিল দিলে সংযোগও দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।