ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে হত্যা মামলায় ভাতিজাসহ কাউন্সিলর আটক

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
ঈশ্বরদীতে হত্যা মামলায় ভাতিজাসহ কাউন্সিলর আটক

পাবনা(ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদীর পৌর এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি ঈশ্বরদী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার ভাতিজাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২ দলের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রহিমপুর মোড়ের পাশে রেলওয়ের বারো কোয়ার্টার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. তৌহিদুল মবিন খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌরসভার রহিমপুর শৈলপাড়া ১২ কোয়ার্টার এলাকার মৃত নূর উদ্দিন নুরুর ছেলে ও ঈশ্বরদী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন (৪৮) ও তার ভাই জামাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয় উদ্দিন (২৪)।

তারা দুজনে ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তবে ওই হত্যা মামলার মূল আসামিসহ আরও এক আসামি পলাতক রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে নিহত যুবকের মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত মামুন ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারাখালী মহল্লার মানিক আলীর ছেলে।

আরও জানা যায়, বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার কাঁচারীপাড়া মসজিদ মোড়ে লেগুনার সঙ্গে নসিমনের ধাক্কা লাগা কেন্দ্র করে দুই গাড়ির চালকদের বাকবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন সুরাহাও করে দিলে দুইজনই চলে যান।

পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে কাচারীপাড়া মোড়ের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন ওই ঘটনার সমাধানকারী মামুন (২৫), রকি (২৬) ও সুমন। এ সময় যুবলীগ কর্মী আনোয়ার উদ্দিন (৪০) ঘটনাস্থলে এসেই মামুন, রকি, সুমনসহ স্থানীয় নসিমন চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এসময় পৌর এলাকার রহিমপুর এলাকার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ও রিকশাযোগে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ এসে উপস্থিত হয়। আনোয়ারের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের তর্ক বাঁধে। জনগণের রোষানল থেকে বাঁচতে রকি, মামুন, সুমনকে উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ও ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যান।

এসময় মামুন, রকি, সুমন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় মামুনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত অপর দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মানুনের মরদেহ মর্গে পাঠায়।  

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে জানান, দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটি জের কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে মামুন নামে যুবকের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে আরও তিনজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে র‌্যাব-১২ পাবনার সদস্যরা তাদের আটক করেছে। ওই মামলায় দুই আসামি এখনও পলাতক আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।