ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএমপিতে মুজিব কর্নার উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
ডিএমপিতে মুজিব কর্নার উদ্বোধন

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তার স্মৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে স্থাপন হলো ‘মুজিব কর্নার’।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ‘মুজিব কর্নার’ উদ্বোধন করেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলাম, মনে পড়ে সেই ৭ মার্চের ভাষণ। মার্চের প্রত্যেকটা দিনের কথা আমার মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধু তার সারাটি জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন, যখন ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাটগুলো মেরামত হলো। একটা ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার যখন বাংলাদেশে প্রাণের সঞ্চার হলো তখন তাকে প্রাণ হারাতে হলো। স্বাধীনতা বিরোধীদের পরামর্শে কিছু বিপথগামী উশৃঙ্খল সেনা সদস্য এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।  

মন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার দেখার প্রতীক্ষায় ছিলাম। সেটাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করে আমাদের কালিমামুক্ত করেছেন। হৃদয়ে যে ক্ষত ছিল তার কিছুটা তিনি উপশম করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আপনারা এখানে মুজিব কর্নার স্থাপনের আয়োজন করেছেন, সেজন্য আপনাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটা দেখবে, এরা জানবে।  

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ডিএমপিতে সুন্দর এক কর্নার করা হয়েছে, এটা খুবই সুচিন্তিত পরিকল্পনা।  

তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। যেন মাকে হারিয়ে ফেলা এক শিশু দীর্ঘ সময় পর মাকে খুঁজে পেয়ে যেভাবে আবেগে আপ্লুত হয় তেমনি আমরা ক্রন্দন সিক্ত বঙ্গবন্ধুকে দেখি। তিনি বারবার চোখ মুছছেন, তার পাশে জাতীয় চার নেতা রয়েছেন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, তাদের জড়িয়ে ধরছেন। হিমালয় সদৃশ বিশাল মানুষটি একটি শিশুর মত মাকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে বিহ্বল হচ্ছেন।  

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আজ ঐতিহাসিক দিন ১০ জানুয়ারি, যেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন থেকে দেশে এসেছেন। তিনি বলেন, তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে রেসকোর্স ময়দানে আসা যেত। কিন্তু তাঁর আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। আমরা সেই সময় বাংলাদেশ বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শুনবো বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে প্রথম বুলেট রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে বীর পুলিশ সদস্যগণ নিক্ষেপ করেন। ইতিহাসের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ বাংলাদেশ পুলিশ করেছিল, এটা বাংলাদেশ পুলিশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।  

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে দায়িত্ব পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, আগুন সন্ত্রাসসহ যে কোনো অপপ্রয়াস বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দিয়েছে।  

আগামী দিনেও যে কোনো অপপ্রয়াস রুখে দিতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইজিপি।  

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তার এ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। সে জন্য আমরা আজকের এ দিনটিতে মুজিব কর্নার উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রায় ১৩ বছর কারাভোগ করেছেন।  

তিনি বলেন, তার কন্যার হাত ধরে আজকে বাংলাদেশ অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সে দেশের নাগরিক হিসেবে আজ সেই সুফল ভোগ করছি। আমাদের প্রত্যেকের অন্তরে, মননে সর্বদা মুজিবের আদর্শ বিরাজমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
পিএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।