ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন যুবক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৮, অক্টোবর ২০, ২০২৫
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন যুবক

এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের বিদেশ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাড়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মো. রাজিব খান ওরফে ঈশান (২৮) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, রোববার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঈশানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানার বরাত দিয়ে ডিসি তালেবুর আরও জানান, ভুক্তভোগী সুমাইয়া সুলতানা গ্রিস প্রবাসী ঈশানের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হন। পরিচয় থেকে দ্রুত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। ঈশান সুমাইয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং তার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি সুমাইয়ার ছোট ভাই এবং বোনের দেবরকে নিজ খরচে গ্রিসে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন। সুমাইয়া তার কথামতো তাদের পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করেন। বিদেশে পাঠানোর নাম করে ঈশান ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ৪ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি দেশে ফিরে সুমাইয়াকে বিয়ে করবেন বলে জানান এবং গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশে ফিরে আসেন। কিন্তু দেশে ফিরে এসে তিনি সুমাইয়ার ভাইকে বিদেশে পাঠানোর জন্য আরও টাকার দাবি করেন।

গত ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলী স্কয়ার শপিংমলে সুমাইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নগদ ৫ লাখ টাকা নিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এরপর থেকে ঈশান সুমাইয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ভুক্তভোগী সুমাইয়া বুঝতে পারেন যে, ঈশান প্রতারণামূলকভাবে তার বিশ্বাসভঙ্গ করে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভুক্তভোগী সুমাইয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি রুজুর পর গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ প্রতারক মো. রাজিব খান ওরফে ঈশানের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে রোববার মিরপুর-১০ মেট্রোস্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ডিসি তালেবুর রহমান।

এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।