সাভার, (ঢাকা): সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের লেক থেকে ছিন্নমূল এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক কিশোরকে থানায় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ৫টার দিকে স্মৃতিসৌধ এলাকার প্রথম লেক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে স্মৃতিসৌধ ফাঁড়ি পুলিশ।
ছিন্নমূল শিশুটির নাম প্রাথমিকভাবে নীরব বলে জানা গেলেও তার পরিচয় পায়নি পুলিশ। আটক কিশোর আসাদুল সাভারের জামসিং এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিকেল ৫টার দিকে লেকের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুর সংবাদ পাই। পরে শিশুটিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত শিশুটির সঙ্গে গোসল করতে নামা আসাদুল নামে এক কিশোরের বক্তব্য রহস্যজনক হওয়ায় তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছিল। আসাদুল প্রথমে নিহত শিশুটিকে তার ছোট ভাই পরিচয় দিয়েছে। তার মা-বাবা কেউ নেই, থাকার জায়গা নাই এসব বিভ্রান্তিকর এলোমেলো তথ্য দিয়েছে। পরে তার বাবা এলে আমরা সত্যটা জানতে পারি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বাংলানিউজকে বলেন, স্মৃতিসৌধ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গোসল করতে নেমে লেকের পানিতে ডুবেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিহতের সাথে থাকা আরেক কিশোরের দেওয়া তথ্য সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই মনে হয়েছে। কারণ আসাদুল দুই দিন আগে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। স্মৃতিসৌধ এলাকায় এসেই নিহত শিশুটির সাথে পরিচয় হয়েছিল তার। তাই নিহতের সঠিক পরিচয় এখনও নিশ্চিত না। এছাড়া শিশুটির মৃত্যুর কারণও স্পষ্ট না।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ওই কিশোর আমাদের হেফাজতেই রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল বাকি বলেন, শিশুটি আমাদের হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া শিশুটি পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসএফ/এএটি