ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রামুতে গরু চুরি-ডাকাতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
রামুতে গরু চুরি-ডাকাতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামু উপজেলায় গরু চুরি ও ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রামু উপজেলার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম, রামু উপজেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আকতার কামাল আজাদ, সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন কোম্পানি, প্রান্তিক চাষি শিরিন আকতার ও জয়নাব বেগম প্রমুখ।

সমাবেশে রামু উপজেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ‘উদ্যোগী ও কর্মমুখী হোন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের মতো রামু উপজেলার অনেক প্রতিষ্ঠিত ও প্রান্তিক জনপদের ব্যক্তি ও কৃষকরা গরু পালনে এগিয়ে এসেছেন। এ কারণে রামু উপজেলায় ডেইরি শিল্পের প্রসার ঘটেছে। পাশাপাশি দেশের মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণে রামু উপজেলা ডেইরি খামার ও গরু পালনকারী কৃষকরা অবদান রাখছেন। কিন্তু প্রতিরাতে সন্ত্রাসী কায়দায় অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সদস্যদের গরু চুরি-ডাকাতির ফলে উপজেলায় ডেইরি শিল্পের নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ব্যক্তি পর্যায়ে গরু পালন কঠিন হয়ে পড়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১০ জানুয়ারি রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের অফিসেরচর চরপাড়া এলাকায় কৃষক মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এদিন রাতে সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সদস্যরা আলীর ভাতিজা মীর কাশেমকে হত্যা করে দুটি বড় গরু চুরি করে নিয়ে যান। রামু থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ডাকাতি প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা পালন করেনি। যা গরু খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের আরও বেশি হতাশ করেছে।


 
বক্তারা আরও বলেন, গত ২০ নভেম্বর ভোরে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামের মোবাশ্বর আহমদের বাড়ি থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তিনটি গরু নিয়ে যান ডাকাত দলের সদস্যরা। একই দিন রাতে রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের নূর আহমদের বাড়ি থেকে বড় সাইজের দুটি গরু নিয়ে যান তারা। এছাড়া গত ৮ জানুয়ারি রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সদস্যরা চারটি গরু নিয়ে যান। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য চার লাখ টাকা। রামু উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক গরু চুরি ও ডাকাতির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
   
ভুক্তভোগীরা জানান, রামু উপজেলায় গরু চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের পাশাপাশি চকরিয়া উপজেলার একাধিক সিন্ডিকেট জড়িত থাকতে পারে। গরু চুরি ও ডাকাতির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি।

মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে গরু চুরি ও ডাকাতি বন্ধের দাবিতে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ডেইরি ফার্ম মালিক ও প্রান্তিক কৃষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।