গোপালগঞ্জ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট করার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতিনিধি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে তিনি সেখানে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, কৃষি অফিসার নিটুল রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান তাঁজ বুলবুল, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শিক্ষক মনীন্দ্র নাথ রায়, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তার সঙ্গে ছিলেন।
পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, আপনাদের কোনো ভয় নেই, আওয়ামী লীগের সরকার সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে।
এর আগে গত রোববার রাতে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের উত্তর কান্দি গ্রামের অনাধী অধিকারীর ছেলে অপু ওরফে আবির অধিকারী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-কে গালি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-কে কটূক্তিকারী সেই অপু ওরফে আবির অধিকারীর ঘর ভেবে তার স্বজনদের তিনটি ঘর ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে রাতেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার এলাকার সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তার নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সরেজমিনে গেলে সন্তোষ অধিকার, মাখন অধিকারী, বিবেক অধিকারী ও তাদের বাড়ির লোকজন বলেন, অনাধি অধিকারী ও তার ছেলে অপু ওরফে আবির অধিকারী খুব খারাপ মানুষ। তাদের সাথে এই বাড়ির কোনো লোকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল না। যার কারণে অনাধি তার ছেলেকে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এর পর অনাধি ঘর-বাড়ি, জায়গাজমি সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে বলেন যে, আমরা তো চলে যাচ্ছি, তোরাও এদেশে শান্তিতে থাকতে পারবি না, আমাদের পিছে পিছে তোদেরও ভারতে যেতে হবে। এর পর অনাধি তার ছেলে অপু ওরফে আবির অধিকারীকে দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম ধর্মের নবীকে নিয়ে গালি দিয়ে পোস্ট করে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করে। তার সেই পোস্ট দেখে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা তাদের ঘর ভেবে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এমজেএফ