ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে মাছ কেনা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৮, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
ফরিদপুরে মাছ কেনা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মাছ কেনা নিয়ে তিন গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

 

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া বাজারে ও আশপাশের এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে।  

সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সুলতান মাতুব্বর নামে গুরুতর এক আহতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষেই অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মীরাকান্দা গ্রামের ফারুক মীর মাছ কিনতে পুকুরিয়া বাজারে যান। এ সময় এক জেলের মাছ পছন্দ হলে ফারুক মীর ওই মাছের দাম করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুকুরিয়া গ্রামের করিম মাতুব্বর বলেন, আমি মাছের দাম করছি তুই (ফারুক) দাম করলি কেন? এই নিয়ে প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।  এক পর্যায়ে ফারুক মীরকে থাপ্পড় মারেন করিমের ছেলে সুলতান মাতুব্বর।

এ ঘটনার পর পরই নাজিরপুর গ্রামের কয়েকজন কসাই ফারুক মীরের পক্ষ নিয়ে করিম মাতুব্বরের ছেলে সুলতান মাতুব্বরকে বেধড়ক মারধর করে তাকে গুরুতর আহত করেন। মারধরের সংবাদ পেয়ে পুকুরিয়া , নাজিরপুর ও মীরাকান্দা গ্রামের লোকজন ২ ভাগে ভাগ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী তৎপরতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।