ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখা বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখা বন্ধের দাবি

ঢাকা: সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে দুই শিফটে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা চালু ও প্রাইভেট ব্যবসা বন্ধসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশে তারা বলেন, সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিষ্ঠিত সরকারি হাসপাতালে আগামী ১ মার্চ থেকে প্রাইভেট রোগী দেখার নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। জনগণের কল্যাণের কথা বলে সরকার সরকারি হাসপাতালে ফি নিয়ে রোগী দেখার ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর এক ধরনের নির্যাতন।

বিশ্বব্যাংকের নির্দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাকে একে একে বেসরকারিকরণ করে চলেছে অভিযোগ করে তারা বলেন, লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলে দিচ্ছে, এর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তারা বলেন, ৫১ বছরেও বাংলাদেশে রাষ্ট্র-সরকার-সংবিধান স্বাস্থ্যকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে কায়েম করেনি। ১৯৭২ সাল থেকে দেশের শাসন ক্ষমতা লুটেরা ব্যবসায়ীদের কুক্ষিগত হওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে  সরকারি হাসপাতালে ইউজার ফি চালু করেছে, এখন ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রাকটিস চালু করতে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় তারা দাবি জানিয়েছেন- সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে দুই শিফটে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা চালু করতে হবে; সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট ব্যবসা চালানো যাবে না; ইউজার ফি বাতিল করে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে; প্রেসক্রিপশনে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ, টেস্ট লিখে রোগীদের পকেট কাটা বন্ধ করতে হবে; জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দিতে হবে; ৫৩টি অত্যাবশকীয় ওষুধের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ সরবরাহ, আধুনিক ডেলিভারি ব্যবস্থা, বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিতে হবে; সরকারি উদ্যোগে ২৫০টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ উৎপাদন করতে হবে; দেশে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট উৎপাদন, ভ্যাক্সিন আবিষ্কার ইত্যাদির জন্য মেডিকেল গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে; শ্রমিক, কৃষক নিপীড়িত জাতি ও জনগণের স্বার্থে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করতে হবে; এনজিওদের হাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তুলে দেওয়া যাবে না; বিশ্ব ব্যাংকের নির্দেশে স্বাস্থ্যখাত বেসরকারিকরণ করা যাবে না এবং সভা সমাবেশে পুলিশি বাধা বন্ধ করতে হবে।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল, গণতান্ত্রিক যুব সংগ্রামের সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার ও জয়ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসসি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।