চাঁদপুর: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ২৯ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে এবং নদীতে পেতে রাখা ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ মিটার কারেন্ট জাল, মাছ ধরার ৫টি নৌকা ও ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এতথ্য জানিয়েছে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জাটকা রক্ষায় বুধবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাটকা ধরার সময় হাতেনাতে ২৯ জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেদের মধ্যে ৮ জনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়। এছাড়া ৩ জন শিশু জেলেকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার ৫টি নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে। আর ১৮৮ কেজি জাটকা স্থানীয় গরিব দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন- মো. ফারুক (২৬), মো. কবির (১৯), মো. শামীম (১৯), মো. ইমরান (১৯), মো. মাহবুব (২০), জাবের হোসেন (১৯), আলমগীর প্রধানিয়া (৪০), রাশেদ হোসেন শেখ (২২), রফিকুল ইসলাম বেপারী (৬০), শাহাদাত হোসেন ইমান (২০), সৈয়দ হোসেন শিকদার (৬২), বিল্লাল হোসেন প্রধানিয়া (৩০), দুলাল মৃধা (৩৮), আক্তার হোসেন গাজী (৪৫), আবদুল করিম তপাদার (৪৫), আজির আলী মির (৫০), মহসিন প্রধানিয়া (৪০), আল-আমিন হাওলাদার (২৬)। এদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়।
এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার নুনের টেক এলাকার শুক্কুর আলী (৩৪), আমির হোসেন (৩২), শিপন (২০), সেন্টু (৩২), মাঈন উদ্দিন (১৯), কবির হোসেন (২২), মো. সুমন (২০), শেখ ফরিদ (২৮)।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু জেলেরা হলো- শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার আরিফ (১২) মো. নোমান (১৩) ও সাব্বির বেপারী (১৩)।
পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষায় সরকার ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। মৎস্য আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৩
আরএ