নারায়ণগঞ্জ: আর কদিন বাদেই শুরু হবে সিয়াম-সাধনার মাস রমজান। এ উপলক্ষে হু হু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম।
সোমবার (১৩ মার্চ) শহরের দ্বিগুবাবু ও কালীরবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে চাল, ডাল, প্যকেটজাত দুধ, চিনি, মসলা, মিঠাই, ডিমসহ বেশ কয়েকটি পণ্যে বাড়তি দাম রাখতে দেখা যায় দোকানিদের। কাঁচাবাজারের পণ্যের দামও বাড়তি।
বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় কিছু কিছু পণ্যে দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। সরবরাহ ঠিক হলে দাম কমবে।
কালীরবাজারে আসা ক্রেতা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আজিজুল হক। পণ্যের অধিকমূল্য নিয়ে বেশ বিরক্ত তিনি। বলেন, খরচ বাঁচাতে দুধ চা খাওয়া বাদ দিয়েছি, রং চা খাই। চিনির দামও বাড়তি। তাই মিষ্টি জাতীয় খাবারও কমিয়ে দিয়েছি। রোজা আসছে, সিন্ডিকেট আর অসাধু ব্যবসায়ীরা আবার দাম বাড়াবে। তদারকি করার মতো কেই নাই। যে যেমন ইচ্ছা দাম নিচ্ছে। রোজায় বাজার মনিটরিং জরুরি।
নাজমা আক্তার নামে এক ক্রেতা জানান, রোজা আসছে, সরবতের জন্য গুড় কিনতে এসেছিলাম। দাম আরও পরে বাড়বে ভেবেছিলাম; কিন্তু বাজারে এসে দেখি আগেই দাম বাড়িয়ে রেখেছে। শীতের সময় পিঠা বানানোর সময় মিঠাই ও গুড় কিনেছি, তখন এত দাম ছিল না।
মাংসের বাজারেও অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে দাবী ক্রেতাদের। বাজারে গিয়ে দেখাও গেছে তাই। মাংসের দোকানে নির্দিষ্ট মূল্যের তালিকা থাকার কথা, তা ছিল না। দোকানিদের দাবি, প্রতিদিনই দাম ওঠানামা করে। তাই প্রতিদিন মূল্য তালিকা দেওয়া সম্ভব না। মাঝেমধ্যে তালিকা প্রকাশ করা হয়।
গরুর মাংস কিনতে আসা আফজাল খন্দকার নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে মাসে একবার গরুর মাংস কিনতাম। এখন তিন মাসে একবার কিনি। মুরগির দামও অসহনীয়। বাজারগুলোয় প্রশাসনের নজরদারি থাকলে এমনটি হতো না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সরকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান বলেন, রোজার মাসে পুরো সময় জুড়েই মাঠে থাকবে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। প্রতিদিনই সরেজমিনে গিয়ে বাজার পরিস্থিতি আমরা মনিটরিং করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এমআরপি/এমজে