ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমিককে মারধর করে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
প্রেমিককে মারধর করে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় ১৪ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরিফ খান (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সাদিক।

 

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সালথা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়।  

গ্রেফতার আরিফ খান উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আহম্মদ খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক হলেও এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমি স্থানীয় একটি কওমী মাদরাসায় পড়ি। উপজেলা সদরের এক ছেলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এটা আমার পরিবারের সবাই অবগত। গত সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই ছেলে আমাদের বাড়ির পাশে এসে আমার সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় অভিযুক্ত আরিফ ও তার দুই সহযোগী মারুফ মাতুব্বর (২১) এবং ইমন মাতুব্বর (২২) আমার প্রেমিককে মারধর করে পাঠিয়ে দেয়। পরে আমাকে স্থানীয় একটি গম ক্ষেতের আইলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে আরিফ।  

ভিকটিম আরও বলেন, এ সময় মারুফ আর ইমন পাহারা দেয়। ঘটনার সময় আমার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি পরিবারকে জানালে আমার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।  

তিনি জানান, অভিযুক্ত আরিফের সহযোগী মারুফ রামকান্তপুর গ্রামের মোহন মাতুব্বরের ছেলে ও সালথা কলেজের শিক্ষার্থী এবং ইমন একই গ্রামের আবু মাতুব্বরের ছেলে ও ভ্যানচালক।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।  

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।