ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ খুন হয়েছে আমার অফিসে, কিন্তু আমি জড়িত না: আরাভ খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
পুলিশ খুন হয়েছে আমার অফিসে, কিন্তু আমি জড়িত না: আরাভ খান সাকিব আল হাসানের সঙ্গে হত্যামামলার আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। 

ঢাকা: ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানসহ বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনের আলোচনায় এসেছেন পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম।  

তবে মামলার আসামি হলেও সেই হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না দাবি করেছেন আরাভ খান।

অপরাধ অনুযায়ী বিচার হলে শাস্তি মাথা পেতে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে এক লাইভে এ কথা জানান আরাভ খান।  

তিনি বলেন, আমি খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলামই না। জড়িত থাকলে এখনই পালিয়ে যেতাম। খুন হয়েছে আমার অফিসে। এ জন্য বিচার হলে মাথা পেতে নেব আমি। আল্লাহ যেটা কপালে রাখছে সেটা হবে। আমার অফিসে মার্ডার হয়েছে এটার যদি কোনো সাজা বা বিচার হয়ে থাকে সেটা মাননীয় আদালত আমার বিচার করবে। আমি মাথা পেতে নেব। যতটুক অপরাধ করেছি ততটুক সাজা হোক এটা চাই।

গণমাধ্যমের সব সত্য নয় বলে আরাভ খান বলেন, কোনটাই পুরোপুরি সত্য না। আল্লাহ যদি পাশে থাকেন যতই শত্রু থাকুক না কোন প্রবলেম হবে না। গোল্ড বাজারে শত্রু সবারই থাকবে। আমার প্রথম প্রবলেম হল গোল্ড বাজারে শুরু করার সময় কথা দিয়েছিলাম আপনাদের ডিসকাউন্ডে মাল (গোল্ড) দেব অন্যদের থেকেও (কমে)। সেক্ষেত্রে আমি বড় করে শুরু করেছিলাম। আমার কয়েকজন ব্যবসায়িক বন্ধু শত্রু হয়েছেন। এতো কিছুর পরেও সাকিব আল হাসান ভাইকে ধন্যবাদ পিছু হটেননি তিনি।

 এ স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, আমাকে বলা হয়েছে খুনী, মার্ডার মামলার আসামি। বাংলাদেশ থেকে হাজার টাকা এনে বিজনেস শুরু করেছি। আমি যদি খুনী হতাম পাঁচ বছর আগের ঘটনা আমি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতাম। আমি তো একটা দিনও অফলাইন হই নাই। কিছু রটে কিছু বটে। আমি তো বলি নাই যে, কেস নাই। কেস আছে। সেটি আমি আপনাদের মাঝে বলতে চাই।

এরপর আরাভ খান বর্ণনা দেন, ‘২০১৮ সালে আমার অফিস বনানীতে ছিল। রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছিল, আপন বিল্ডার্স। ঘটনার দিন বাসায় আমি ভাত খাচ্ছিলাম। বডিগার্ড আমাকে ফোন করে বলে আমার অফিসে একটা মার্ডার হয়েছে। তিনি ছিলেন এসবির একজন কর্মকর্তা মানে ওসি অনেক বড় ওসি ছিলেন। এটা সম্পূর্ণ একটা এক্সিডেন্ট ছিল। আমার অপরাধ হচ্ছে আমি ওই অফিসের মালিক। ওখানে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কিছু কথা কাটাকাটি নিয়ে ঝগড়াটা হয়। আল্লাহ যদি সহায় থাকে তাহলে বান্দা না পৃথিবীর কেউ কিছু করতে পারে না।

আরাভ ওরফে রবিউল বলেন, আমার আমেরিকান গ্রিন কার্ড ও কানাডিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে। কই, আমি তো চলে যাইনি। আমাকে অনেকে চলে যেতে বলেছিলেন। আামার বাড়ি গোপালগঞ্জ। এলাকায় কেউ বলতে পারবে না আমি কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেছি। কেউ বলতে পারবে না থানায় কোনো খারাপ রেকর্ড আছে।

এদিকে আরাভ খানের নামে এখন পর্যন্ত ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে জানান  ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্য খুনের মামলার এই আসামিকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি এই আরাভ খান।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ভারতে চলে যান সে সময় ৩০ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম। সেখানে বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। সেই পাসপোর্ট দিয়েই পাড়ি জমান দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এসকেবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।