ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের দুই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তিন কসমেটিকের দোকানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বিদেশি কসমেটিকসের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য, মেয়াদ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সিল না থাকায় দোকানগুলোকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে এ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জরিমানা করা দোকানগুলো নাভানা বেইলি স্টার ও ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার মার্কেটের।
নাভানা বেইলি স্টার মার্কেটের স্টারডাস্ট নামে দোকানকে পাঁচ হাজার; ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার মার্কেটের ওয়েস্টার্ন গ্ল্যামার ও হলমার্ককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।
অভিযান শেষে অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বেইলি রোডে যেসব কসমেটিকসের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোয় ব্যাপক পরিমাণ ক্রেতার আগমন হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঈদের সময় ভেজাল ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যগুলো এসব প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার পায়তারা করেন। ব্যবসায়ীরাও অধিক মুনাফর লোভে সেগুলো বিক্রি করেন। গত কয়েক বছর তদারকি করে এই চিত্র দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা এখানে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে আমদানিকারকের তথ্য না থাকায় জরিমানা করেছি। সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে লাগেজ পার্টির পণ্য বিক্রি করবেন, আর প্রকৃতি ব্যবসায়ী লস গুনবে সেটি হবে না। আমরা এ বিষয়ে আরও কঠোর হবো। আজ শুধু অল্প জরিমানার মাধ্যমে আমরা তাদের বার্তা দিয়ে গেলাম। দ্বিতীয়বার এ ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেব। আমরা চাই না কোনো ভোক্তা প্রতারিত হোক।
শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা রাজধানীর চকবাজারের পাশে মৌলভীবাজারে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছিলেন। সেখানে তারা বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত কসমেটিকস পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে দেখতে পান। তিনি বলেন, আমরা ভোক্তাদের অনুরোধ করবো, তারা যেন এসব পণ্য কেনার আগে যাচাই করে নেন। বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনতে তিনি বিশেষভাবে আহ্বান জানান।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। তারা সুপার শপের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেন কসমেটিকসে দেওয়া বারকোড অবৈধ। এ ব্যাপারে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
অধিদপ্তরের এ পরিচালক কসমেটিকস ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নকল পণ্য তৈরি করবেন, ভেজাল পণ্য ভোক্তাদের দেবেন; আবার ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযানে গেলে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, এ সুযোগ থাকবে না। আমরা প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে এবার আইনের আওতায় জবাবদিহিতার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি। আমরা বাজার কমিটিগুলোকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।
এর আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানে তেমন কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এসসি/এমজে