ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোটালীপাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বেড়েছে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
কোটালীপাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বেড়েছে

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫০ হেক্টর জমিতে বেড়েছে বোরো আবাদ। ফলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার এই উপজেলায় ৬ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বাড়বে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদের তত্ত্বাবধানে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের দিকনির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো ধান আবাদ বাড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামেন। তারা ফসল উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে ৩২টি উদ্বুদ্ধকরণ সভা করেন। বিভিন্ন খালের কচুরিপানা পরিষ্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন ও খাল খননের মাধ্যমে অনেক জলাবদ্ধ পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ২৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রেখে সব জমি চাষাবাদের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ পূরণে আমরা কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার বীজ-সার দিয়েছি। একই সঙ্গে অধিক জমিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। কৃষকরা শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলে এই উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বেড়েছে। তাই এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার মেট্রিক টন ধানের উৎপাদন বাড়বে। যার বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা।
 
উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের কৃষক সঞ্জয় মল্লিক বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাদের প্রণোদনার সার বীজ দিয়েছে। তারা ধান উৎপাদনে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে ও পরামর্শ দিয়েছে। এ কারণে আমাদের এলাকায় এবার অন্য বছরের তুলনায় বোরো আবাদ বেশি হয়েছে।

কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা গ্রামের কৃষক চিত্ত বেপারী বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের জমি জলাবদ্ধ থাকার কারণে চাষাবাদ করতে পারতাম না। এ বছর বিভিন্ন খালের কচুরিপানা পরিষ্কার ও খাল খনন করার কারণে সময় মতো জমি থেকে পানি নেমে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধানের  চারা দিয়েছে। এছাড়া ধান রোপণে শ্রমিক দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তাই আমার ২ একর জমিতে ধান রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদের তত্ত্বাবধানে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের দিকনির্দেশনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় তার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আমাদের সঙ্গে গত নভেম্বর থেকে মাঠে কাজ করছেন। তাই এ উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।