সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্রে কাউন্টার রাখতে না দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন ঢাকাগামী পরিবহন মালিকরা। এতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকায় যেতে না পেরে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে।
আশাশুনি থেকে আসা যাত্রী আয়েশা খাতুন জানান, তিনি সাতক্ষীরায় এসে টিকিট কেটে ঢাকায় যেতে চেয়েছিলেন। সকাল ৮টায় এসে জানতে পারেন, গাড়ি ছাড়বে না। এতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে বিপাকে ছিলাম। এখন কিছুটা চিন্তামুক্ত হয়েছি।
ঈগল পরিবহনের সাতক্ষীরা কাউন্টারের ম্যানেজার মহসিন হোসেন জানান, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সঙ্গীতা সিনেমা এলাকা থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার পরিবহন চলে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে গত সোমবার (৩ এপ্রিল) পুলিশ এখান থেকে পরিবহন চালানো নিষিদ্ধ করে। উপায়ন্তর না দেখে বুধবার সকাল থেকে মালিকরা পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির জানান, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিগত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল পরিবহন ডিপো বাঁকালে সরিয়ে নেওয়ার। পরিবহন ডিপো সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্র সঙ্গীতা সিনেমা হল এলাকায় থাকায় সারাদিন-রাত ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এসব বিবেচনায় পরিবহন ডিপো সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সে সিদ্ধান্ত পরিবহন মালিকরা কার্যকর না করায় পুলিশ মঙ্গলবার সঙ্গীতা মোড় এলাকা থেকে পরিবহন না ছাড়তে আদেশ জারি করে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বুধবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, এমন তথ্য পেয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আমার কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিকেল থেকে পরিবহন চলাচল আবারও স্বাভাবিক হয়েছে।
হানিফ পরিবহনের সাতক্ষীরাস্থ ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, পরিবহন ডিপো সাতক্ষীরা শহরে রাখা যাবে না, তবে ঈদের আগ পর্যন্ত কাউন্টারের সামনে পাঁচ মিনিট গাড়ি রেখে যাত্রী তোলা যাবে, জেলা প্রশাসনের এমন শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
এমএমজেড