নীলফামারী: চলছে চৈত্রের খরতাপ, প্রচণ্ড তাপদাহ। এরই মধ্যে সিয়াম সাধনার মাস রমজান।
জানা গেছে, গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাত্র ৩০-৪০ টাকায় কেনা হয় একেকটি ডাব। কিন্তু সেই ডাব খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। রমজান ও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, ছোট আকারের প্রতিটি ডাবের দাম ১০০ এবং একটু বড় আকারের প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। যে দাম অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
সৈয়দপুর প্রধান ডাকঘরের সামনে ডাব কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে ডাবের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু বাজারে ১০০ টাকার নিচে ডাব নেই। একটু বড় ডাব হলেই ১২০ টাকা। এত দামে কি প্রতিদিন ডাব নেওয়া সম্ভব?
তারা বলেন, রমজানে পাইকারি দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে ডাব ও তরমুজ বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। এখানে এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। বাজার তদারকির মাধ্যমে এখনই এ সিন্ডিকেট ভেঙে না দিলে আগামী দিনে সমস্যা প্রকট হবে।
স্থানীয় ডাব ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে ডাবের প্রচুর চাহিদা। কিন্তু সে অনুযায়ী ডাবের যোগান কম। এজন্য দাম একটু বেশি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারীর সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, অন্যান্য পণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এখন থেকে ডাবসহ অন্যান্য মৌসুমি ফলের ক্ষেত্রেও একইভাবে অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এসআই