ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢামেকে ফেলে যাওয়া মরদেহ ৮ দিন ধরে ফ্রিজে, নাম মিললেও ঠিকানায় ভুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
ঢামেকে ফেলে যাওয়া মরদেহ ৮ দিন ধরে ফ্রিজে, নাম মিললেও ঠিকানায় ভুল

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে যাওয়া সেই ব্যক্তির মরদেহ শনাক্তের জন্য মর্গের ফ্রিজে গত আট দিন যাবৎ পড়ে রয়েছে। মৃত ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহের পরে তার নাম-ঠিকানা উঠে আসলেও গ্রামের নাম সঠিক নয়।

তাই পুলিশ তার স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছে না।  

পুলিশ বলছে, ফিঙ্গারে উঠে আসা নাম ঠিকানাও ভুয়া হতে পারে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, পরিচয় শনাক্তের জন্য মৃত ব্যক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেন সিআইডি পুলিশ। সংগ্রহ করা সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম আসলাম ও তার বাবার নাম কালাম। তাদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায় পাশাপাশি একটি গ্রামের নামও উল্লেখ রয়েছে।  

তিনি বলেন, গ্রামের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় যে, ওই নামে কোনো গ্রাম সেখানে নেই। তবে সংগ্রহ করা ফিঙ্গারের নামটাও সঠিক কিনা এটাও জানা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তির সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। তখন দেখা যায়, তার শরীরের দুই পায়ে ব্যান্ডেজ করা ছিল। সেখানে আঘাত ছিল- হতে পারে দুর্ঘটনাজনিত আঘাত। তবুও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

গত ১৮ এপ্রিল পরনে লুঙ্গি ও শরীরের ধুলোমাখা পাশাপাশি দুই পায়ে ব্যান্ডেজ অবস্থায় ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি তাকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্য চিকিৎসক মৃত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ইসমাইল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
এর আগে নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল থেকে টিকিট কাটার সময় মৃত ব্যক্তির নাম মাসুদ বলে টিকিটে বাহক ইসমাইল উল্লেখ করেন।
তবে সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ইসমাইল লোকজনদের জানিয়েছিল, গাবতলী এলাকায় মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়।  

>>আরও পড়ুন: ঢামেকে ব্যান্ডেজ বাঁধা মাসুদকে মৃত ঘোষণা, নেপথ্য খুঁজছে পুলিশ!

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এজেডএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।