ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশাল আদালতে বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকে মারধর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
বরিশাল আদালতে বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকে মারধর

বরিশাল: জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভব‌নের সিঁড়িতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুর ১২টার দিকে বিস্ফোরক দ্রব্যে আইনের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন- গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ মশিউর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহীন ও একই কমিটির সদস্য শরীফ শফিকুল ইসলাম স্বপন। তাদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা মশিউর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি দুজন তেমন আহত হননি।

শরীফ মশিউর বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি বিচারাধীন মামলার আসামি হিসেবে বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আমিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১০ নেতাকর্মী হাজিরা দেন। এর মধ্যে বিএনপি নেতা শাহীনের পায়ে সমস্যা। তিনি হাঁটতে পারেন না। তিনি আদালতের লিফটে চড়েন, পরে দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে বের হন। এ সময় গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের নেতা শিবলী হাওলাদার, পৌর যুবলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কাওসার হোসেন এবং সদস্য রায়হান ফকির এসে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। তাকে রক্ষায় দুই বিএনপি নেতা এলে তাদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। আমাকেও আঘাত করা হয়। আমার মুখে আঘাত লাগে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।

বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে। সেই মামলার হাজিরা দিতে আসার পর আদালতেই যুবলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আদালতেও আমাদের নিরাপত্তা নাই! আমরা আদালতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী শেখ আব্দুল কাদের এ ব্যাপারে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। হামলার শিকার হয়ে উনারা চলে গেছেন। তাদের খুঁজতে গিয়ে পাইনি। প্রকৃত কী ঘটনা ঘটেছে আমি জানি না।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহানগর হাজতখানার কনস্টেবল মো. বেল্লাল বলেন, লিফট থেকে বের হওয়ার পর দুই তিনজন এসে একজনকে কয়েকটি চড় দিয়েছে। কিন্তু চড় খাওয়া ব্যক্তি কোনো কিছুই বলেননি। পরে উভয়পক্ষ চলে গিয়েছে।

বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই কথা জানান বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট ওবায়দুল্লাহ সাজু। তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককেও জানানো উচিত ছিল। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু বলেন, আদালত বিচার প্রার্থীদের নিরাপদ স্থান। সেখানে বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা আইন ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।