ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মরিচের বাম্পার ফলন ও ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি

শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
মরিচের বাম্পার ফলন ও ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার হাট বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা ও পাকা মরিচ।

মরিচের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

ঠাকুরগাঁও রুহিয়া রেলস্টেশনসহ প্রতিটি রেললাইনেই এখন দেখা মিলছে লাল মরিচের সমারোহ। মরিচ শুকিয়ে বাজারজাত করলে বাড়তি দাম পাওয়া যায়। তাই লাইনে শুকনো মাটির ওপর পাটি বিছিয়ে শুকোতে দেওয়া হচ্ছে লাল মরিচ।

রেলগেইট এলাকাতেই প্রতিদিন কয়েকটি এলাকার চাষিরা মরিচ শুকাতে আসেন। এখান থেকে মরিচ পাইকারি দরে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ স্টেশন এলাকা থেকে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার শুকনা মরিচ বেচা-কেনা হয়।

তৈমুর রহমান নামে এক কৃষক তার এক বিঘা জমিতে মরিচ বিন্দু ও বাঁশগাড়া জাতের মরিচ আবাদ করেছেন। তিনি জানান, নিড়ানী, সেচ ও পরিচর্যা বাবদ তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর ওই জমিতে মরিচ উৎপাদন হয়েছে কমপক্ষে ১০ মণ। এবার প্রতি মণ মরিচ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে এক বিঘা জমির ফলনে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

একই এলাকার কৃষক রহমান বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। এ রেলগেইট এলাকার প্রায় ৭০ ভাগ কৃষকই মরিচ চাষের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। তাতে ১ লাখ টাকা খরচ হলেও লাভ থাকবে প্রায় ৩ লাখ টাকা।

ওই এলাকার কৃষক মোকলেসুর বলেন, পৌষ মাসে মরিচের চারা রোপণ করার পর থেকে মরিচ উৎপাদন পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস সময় লাগে। বিন্দু, সেকা, মাশকারা, মল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ হয় এই এলাকায়।

পাশের এলাকার শাহানাজ বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচের চারা রোপণ, সার-বিষ, রোদে শুকানোসহ সব কাজ নিজেরাই করি। গতবারের তুলনায় এবার অনেক ভালো মরিচ হয়েছে। এবারে মরিচ নষ্ট হয়নি ও মরিচের দামও বেশ ভালো থাকায় আমরা সবাই খুশি।

এদিকে, খেতে মরিচ সংগ্রহের কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন শিশু-কিশোরের পাশাপাশি বয়স্করাও। প্রতিটি মরিচের ঝুড়ি ভর্তি হলে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হিসেবে তারা দিনে আয় করছেন অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এবার ১৬৩ কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।