ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিশুকে অপহরণের পর ১৫ হাজারে বিক্রি, উদ্ধার করল পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
শিশুকে অপহরণের পর ১৫ হাজারে বিক্রি, উদ্ধার করল পুলিশ শিশু শাহজাহান ও তার পরিবার। পাশে আটক মমতা (লাল বৃত্ত)

সিলেট: সীমান্তবর্তী এলাকা গোয়াইনঘাট থেকে নিখোঁজ হয়েছিল ১৪ মাসের শিশু শাহ জাহান। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মো. ফয়জুদ্দিন একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে জানা যায়, শাহ জাহানকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন জাফর নামে এক ব্যক্তি।

অপহরণের ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (২৭ মে) সকালে। গোয়াইনঘাট থানাধীন রুস্তুমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল শাহ জাহান। অপহরণ-বিক্রি ও শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়ে জানাতে মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। সেখানেই ঘটনার বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মো. সেলিম।  

তিনি জানান, শনিবার শাহ জাহান নিখোঁজের পর তার বাবা-মা তাকে খুঁজতে থাকে। স্থানীয়দের মনে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গোয়াইনঘাট থানায় জিডি হওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা তৎপর হন। গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিহির চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পুলিশ শাহ জাহানকে খুঁজতে থাকে। পরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সর্দারপুর এলাকার বাসিন্দা মমতা বেগমের কাছ থেকে শাহ জাহানকে উদ্ধার করা হয়। মমতাকে আটক করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।

তবে, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী জাফর নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে অসহায় ও অনাথ পরিচয়ে উপরগ্রামে ফয়জুদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। প্রায় ২০ দিন ওই বাড়িতে অবস্থান করে বিশ্বস্ততা অর্জন করেন তিনি। এর ফাঁকে শাহ জাহানকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।

গত শনিবার (২৭ মে) জাফর সুযোগ বুঝে শাহ জাহানকে অপহরণ করেন। পরে মমতার কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যান। জাফরকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। তার ও মমতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেলিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এনইউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।