ঢাকা, সোমবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৩ বছর পর গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ৫:৪১ পিএম, জুন ২০, ২০২৩
ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৩ বছর পর গ্রেপ্তার

রংপুর: ১৩ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম (৩৬)।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্তুজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার (১৯ জুন) রাতে রংপুর নগরীর তাজহাট শেখপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‍্যাব সদস্যরা। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল এলাকার সৈয়দ জামানের ছেলে। তিনি ২০১০ সালে দেওয়া আদালতের রায়ের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।

র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম ঢাকা সদরঘাট এলাকার এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাসায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর ওই বাসায় কাজের কথা বলে ভিকটিমকে নিয়ে যান।  

এক পর্যায়ে বাসার সবার অগোচরে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন। এতে ভিকটিম রাজি না হলে কৌশলে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

বাসার মালিক বিষয়টি জানতে পারলে ভিকটিম ও আসামি শহিদুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে আসামির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় কুচক্রী মহলের হস্তক্ষেপে সে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে রংপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে আসামি শহিদুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ (দশ হাজার) টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

আদালতের রায়ের পর থেকে আসামি শহিদুল ইসলাম দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।

র‍্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্তুজা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে বলে শিকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আসামিকে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  

ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এনএস

বাংলাদেশ সময়: ৫:৪১ পিএম, জুন ২০, ২০২৩
Nazmush Shahadat
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।