ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরের কসাইরা লাভের আশায় ছুটছেন ঢাকায়

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
উত্তরের কসাইরা লাভের আশায় ছুটছেন ঢাকায়

নীলফামারী: এবারও উত্তর জনপদের কসাই ও মৌসুসি লোকজনরা ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটছেন।  

বেশি লাভের আশায় কোরবানির মাংস কাটার জন্য তারা বাস, ট্রেন ও প্লেনে করে রাজধানীতে যাচ্ছেন।

গত কয়েকদিন ধরে এইভাবে তারা ঢাকায় পাড়ি জমাচ্ছেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কসাই সংকটে কোরবানির গরু-ছাগল কাটতে সমস্যা হওয়ার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে -এমনটি বলেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার কোরবানিদাতারা।
ঢাকায় যাওয়া মোখলেছ নামে একজন কসাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঢাকায় এসেছি ঈদের দু’দিন আগে। সঙ্গে চারজনকে নিয়ে এসেছি। ঢাকার উত্তরায় এক বাড়িতে রয়েছি। পশু কোরবানির পর কাটাকাটি করে অন্যান্য জায়গায় যাব।  

মোখলেছের মতে, প্রতিটি গরুর কেনা দামে হাজার প্রতি ১৫০ টাকা হিসাবে কেটে থাকেন তারা (কসাইরা)। ঢাকায় পিস পিস করতে হয় না, মোটামুটি একটি সাইজ করে দিলেই চলে।
নীলফামারী জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকেও পেশাদার ও অপেশাদার কসাইরা ছুটছেন ঢাকায়।
ঢাকা থেকে সৈয়দপুর আসার চেয়ে ওই পথে ঢাকা যেতে প্লেনের ভাড়া মাত্র ৩ হাজার টাকার মতো। ফলে ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই প্লেনে ঢাকা যাচ্ছেন কসাইরা।  

জেলার সৈয়দপুরের বাস টার্মিনাল এলাকার কসাই মোখলেছ বলেন, গত বছর ঢাকায় ৩টি গরু কাটা-বাছাই করে ১৫ হাজার টাকা এনেছিলাম। এবারও সেই আশায় ঢাকা যাচ্ছি। আমি মূলত, রাজধানীর গুলশান অভিজাত এলাকায় কাজ করি। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করায় পরিচয় আছে। থাকা ও খাওয়ার কোনো অসুবিধাও হয় না সেখানে। এর আগে কোরবানির পশুর কেনা দামে হাজারে ১০০ টাকায় কাজ করেছি। তবে এবার ২০০ টাকার নিচে কাজ করার ইচ্ছে নেই।

নীলফামারীর সৈয়দপুর গরুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নাদিম বলেন, চাহিদা ও পারিশ্রমিক বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ কসাই ঈদের আগে ঢাকায় চলে যান। এ কারণে স্থানীয়ভাবে কসাই সংকট দেখা দেয়। মৌসুমি কসাইদের ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পেশাদার লোক দিয়ে কোরবানির গরুর চামড়া ছিলাতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।