ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে মারধরে ফাতেমা তুজ জোহরা স্বর্ণা (২৭) নামে এক তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জিসান (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বর্ণাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বর্ণা ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চরডুবাই গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের মেয়ে। স্বর্ণা তার মা শেলি সুলতানের সঙ্গে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নিহত স্বর্ণার চাচা মো. আবু জাফর জানান, বাবা ও মায়ের একমাত্র মেয়ে স্বর্ণা। তিনি অ্যানিমেল শেল্টার নামে একটি সংস্থায় কাজ করতেন। সংস্থাটি বেওয়ারিশ কুকুরের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। এ সংস্থায় কাজ করতেন জিসান নামে ওই যুবক। সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় জিসান স্বর্ণাকে ফোন কল করে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের শাহআলী থানার পেছনে তার বাসায় ডেকে নেন। এরপর রাত ১০টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় স্বর্ণাকে জিসান মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনে তার বাসার গ্যারেজে রেখে চলে যান। পরে স্বর্ণার মা তাকে স্বজনদের সহযোগিতায় প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ভোরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জাফর অভিযোগ করেন, স্বর্ণার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। জিসানই তাকে মারধর করেছেন। এ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেজবা উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, স্বর্ণার মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিসান নামে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি জানার চেষ্টা চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৩
এজেডএস/আরআইএস